মোটরসাইকেল এর নিম্ন অংশ:
প্রত্যেকবার মোটরসাইকেল চালানোর পূর্বে আপনার বাহনটি থেকে তেল পড়ছে কিনা তা দেখে নিন।
চালকের আসন গ্রহণের পর নিম্নোক্ত বিষয়গুলো একবার দেখে নিন
১। ক্লাচ ও থ্রটল : ঠিকভাবে কাজ করে নিশ্চিত হয়ে নিন।
২। মিরর : মোটরবাইকের মিরর গুলো পরিষ্কার করে নিন।
৩। ব্রেক : সামনের ও পিছনের ব্রেক ঠিক ভাবে কাজ করছে কিনা পরীক্ষা করুন।
৪। হর্ন : হর্ন ঠিক ভাবে বাজছে তা পরীক্ষা করে নিন।
সেফটি গাইডলাইন:
হেলমেট:
রাইডারের একটি ভালো এবং তার মাথার সাথে পুরোপুরি ফিট একটি হেলমেট বেছে নেয়া দরকার।
হেডফোন ও মোবাইল:
রাইডিং এর সময় কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনা বা মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।
আবহাওয়া:
বৃষ্টির সময় রাইডিং এ গেলে অবশ্যই বাইক খুব আস্তে চালাবেন এবং হার্ড ব্রেকিং থেকে বিরত থাকবেন।
রাইডারের পোশাক:
খুব আঁটসাঁট বা ঢিলেঢালা পোশাক রাইডারের জন্য ভালো নয়। এমন পোশাক পরিধান করে রাইডিং করবেন না যেটা বাতাসে বাধা সৃষ্টি করে।ভালো বুট পড়ে রাইড করা উচিৎ। জুতার সোল সবসময় একটু অমসৃণ হওয়া উচিৎ। সোল নরম ও মসৃন হলে পা পিছলে যেতে পারে।
টেকনোলজি:
বর্তমানের নতুন টেকনোলজি “সিনক্রোনাইজড ব্রেকিং সিস্টেম” এর ফলে ব্রেকিং সিস্টেম যখন আপনার চাকাকে লক করে দিবে তখন নতুন রাইডার হলে ভয়ে বা অন্য যেকোনো কারণে আপনি বাইকের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই, নতুন টেকনোলজি ভালোভাবে অনুশীলন করুন ।
সতর্কতা:
মোটরবাইক রাইডিং এর সময় আপনার চোখ সবসময় রাস্তার উপর রাখুন। আপনার সামনে বা পেছনে কোন বাইক বা অন্য কোন যানবাহন আছে কিনা তা ভালো করে লক্ষ্য করুন। টার্নিং এর সময় পুরো রাস্তার দিকে ভালভাবে খেয়াল করে টার্ন নিন।
কোন সময়ই আপনার দক্ষতার সাথে অন্য কারও দক্ষতা তুলনা করবেন না। কারণ, আপনি যার রাইডিং স্টাইল নকল করতে চাইছেন তার দক্ষতা আপনার মত নাও হতে পারে। রাইডিং নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে আপনার নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করুন।